বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত

বিশ্বব্যাংক অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে সম্প্রতি গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসে নতুন সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকে, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অঁড্রে রেসেল উল্লেখ করেছেন, “আমরা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন ও অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগগুলির প্রতি সম্মান জানাই। আমরা সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণের জন্য পূর্ণ সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।”

বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সহযোগিতা মূলত তিনটি প্রধান ক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হবে:

  1. অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা: বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে, যাতে করে দেশটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পারে। এর মধ্যে বাজেট ব্যবস্থা উন্নয়ন, রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং ব্যয় ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
  2. স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত: স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। বিশেষ করে, COVID-19 মহামারীর প্রভাব মোকাবেলা এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক সহায়তা করবে।
  3. মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন: পরিবহন, বিদ্যুৎ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগ করবে। এর মাধ্যমে দেশটির অবকাঠামোগত চাহিদা পূরণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “বিশ্বব্যাংকের সাথে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের এবং তাদের অভিজ্ঞতা ও সহায়তা আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় আমরা আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্যে দ্রুততার সঙ্গে পৌঁছাতে সক্ষম হব।”

বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলোর প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রদান করবে এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করবে। এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের প্রভাব মোকাবেলা করতে এবং স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়ন অর্জনে সাহায্য করবে।

বিশ্বব্যাংকের এই ঘোষণা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি আশা করা হচ্ছে যে, এই সহায়তার মাধ্যমে দেশটি আরো উন্নত এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *