নর্থ সাউথের পুনর্গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডকে বেআইনি হিসেবে ঘোষণা
— নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুনর্গঠিত বোর্ড অব ট্রাস্টিজকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ট্রাস্টি বোর্ডের গঠন বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করে এবং এটি কার্যকর নয়।
রায়ের পর, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলাকালীন কিছু আইনগত শর্ত পূরণ করা হয়নি এবং এই প্রক্রিয়াটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চুক্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক গোলাম মোরশেদ বলেন, “আমরা আদালতের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করছি। আমাদের লক্ষ্য হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। বোর্ড পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া পূরণ করে আমরা নতুন বোর্ড গঠন করব।”
আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে, পুনর্গঠিত বোর্ডের বৈধতা পরীক্ষা করে দেখার জন্য একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা হবে। কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কাঠামো, পরিচালনা এবং ট্রাস্টি নিয়োগের প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করবে। এই তদন্তের মাধ্যমে বোর্ডের বৈধতা বা অযোগ্যতা সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সেল ও ছাত্রছাত্রীদের সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তারা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও গুণগত মান উন্নয়নে সহায়ক হবে। তবে, কিছু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নতুন ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি, তারা নিশ্চিত করেছে যে, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা এবং অন্যান্য কার্যক্রমের কোনো ক্ষতি না হয় তা নিশ্চিত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রদায় আশা করছে, ভবিষ্যতে নতুন ট্রাস্টি বোর্ড প্রতিষ্ঠা এবং প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় তার গুণগত মান ও সুশাসন বজায় রাখতে সক্ষম হবে।